পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে। পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্টের পার্থক্য

 

পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আপনারা ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আপনি আমাদের আর্টিকেল পড়লে পাসপোর্ট করার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন সাথে পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্টের পার্থক্য ও জানতে পারবেন।

পাসপোর্ট-করার-নিয়ম-বাংলাদেশে

পাসপোর্ট আমাদের অতি জরুরী একটি জিনিস। কিন্তু আমরা অনেকেই এটি করার নিয়ম জানি না। তাই আমরা আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের পাসপোর্ট তৈরির নিয়ম সম্পর্কে আপনারদের জানাব। আশা করি আর্টিকেলটি পুরো পড়লে আপনি এটি সম্পর্কে পুরো ধারনা পাবেন। 

পোস্ট সূচীপত্র: পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে

পাসপোর্ট কি

পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে জানার আগে ধারণা রাখতে হবে পাসপোর্ট কি? পাসপোর্ট হলো একটি সরকার-প্রদত্ত আনুষ্ঠানিক নথি যা কোনও দেশের নাগরিককে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার অনুমতি দেয়। এটি একটি ব্যক্তি বা নাগরিকের পরিচয় এবং জাতীয়তার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। পাসপোর্ট সাধারণত একটি ছোট বইয়ের আকারে তৈরি হয় এবং এতে পাসপোর্টধারীর নাম, ছবি, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে।

আরো পড়ুন: গুগল সার্চ কনসোল কি? গুগল সার্চ কনসোলের কাজ ও বৈশিষ্ট্য।

পাসপোর্ট সাধারণত ৫ বা ১০ বছরের জন্য ইস্যু করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাসপোর্ট নবায়ন করতে হয়। পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। এটি শুধুমাত্র ভ্রমণের অনুমতি দেয় না, বরং ব্যক্তি এবং দেশের মধ্যকার একটি আইনানুগ সম্পর্কও প্রতিষ্ঠা করে।

পাসপোর্টের উদ্দেশ্য

পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে জানার আগে জানতে হবে আমরা কি উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট করে থাকি। পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে সমূহ নিন্মে আলোচনা করা হলো:

ভ্রমণের অনুমতি: পাসপোর্ট থাকা মানে একজন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করার এবং বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করার অধিকার রাখেন। পাসপোর্ট না থাকলে সাধারণত কোনও দেশে প্রবেশ করা যায় না।

পরিচয় প্রমাণ: পাসপোর্ট একটি বৈধ পরিচয়পত্র যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এটি ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা চেক বা অন্যান্য পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।

কনস্যুলার সহায়তা: কোনও বিদেশী দেশে ভ্রমণের সময় সমস্যা বা জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারী তার দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সহায়তা পেতে পারেন।

পাসপোর্টের ধরণ

পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে জানার আগে এর ধরন সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের পাসপোর্ট থাকে। উদাহরণস্বরূপ:

সাধারণ পাসপোর্ট (Regular Passport): সাধারণ নাগরিকদের জন্য।

আরো পড়ুন: কাজু বাদামের উপকারিতা। জেনে নিন কাজু বাদামের ব্যবহার ও অপকারিতা।

কূটনৈতিক পাসপোর্ট (Diplomatic Passport): কূটনীতিক ও সরকারি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জন্য।

সরকারি বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট (Official Passport): সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য।

ই-পাসপোর্ট (E-Passport): এতে ইলেকট্রনিক চিপ থাকে যা পাসপোর্টধারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি আরও সুরক্ষিত ও আধুনিক।

পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হয়:

অনলাইন আবেদন: প্রথমে পাসপোর্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে http://www.passport.gov.bd/ গিয়ে কিছু নির্দেশনাবলী সম্বলিত একটি পেজ আসবে সেটা পড়ার পড়ে নিচের দিকে 


ওপরে দেখানো বক্সে ক্লিক করে "Continue to online enrolment" অপশনে ক্লিক করুন এবং তারপর সেখানে অনলাইন ফরমটি পূরণ করুন। ফরম পূরণের সময় ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ইত্যাদি দিতে হবে। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় নথির তথ্য দিতে হবে যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), জন্মনিবন্ধন সনদ ইত্যাদি। এগুলো সব কিছু নির্ভূলভাবে দিতে হবে।

অনলাইন আবেদন করার পর নির্দিষ্ট সময়ে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিয়ে আসতে হবে এবং নিচের নথিপত্রগুলি যুক্ত করতে হবে:

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (NID) অথবা জন্ম সনদের ফটোকপি।
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে)।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সাধারণত ২ কপি)।
  • পিতামাতা বা অভিভাবকের NID ফটোকপি (যদি আবেদনকারী নাবালক/নাবালিকা হন)।

 তারপর আবেদন ফি অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। পাসপোর্টের ধরন অনুযায়ী ফি ভিন্ন হয়। সাধারণত, ৫ বছরের ই-পাসপোর্টের জন্য নিয়মিত ফি ৩,৫০০ টাকা এবং জরুরি ফি ৫,৫০০ টাকা। ফরম পূরণ ও ফি জমা দেওয়ার পর, একটি নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট অফিসে সাক্ষাৎকারের জন্য যেতে হবে। সেখানে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙুলের ছাপ এবং ডিজিটাল ছবি নেওয়া হবে।

সমস্ত তথ্য যাচাই করার পর এবং নথিপত্র ঠিক থাকলে, পাসপোর্ট প্রস্তুত হতে প্রায় ২-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। প্রস্তুত হওয়ার পর, পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় রসিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট নিতে হবে।

সাধারণ পাসপোর্টের সুবিধা

পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে কিভাবে করতে হয় তা আমরা উপরে আলোচনা করলাম। এখন আমরা এর সুবিধা নিয়ে আলোচনা করব।

কম খরচে ইস্যু করা যায়: ই-পাসপোর্টের তুলনায় সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর খরচ তুলনামূলক কম হতে পারে।

পাসপোর্ট-করার-সুবিধা

প্রচলিত পদ্ধতি: সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য কোনও বিশেষ প্রযুক্তি বা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না, তাই এটি প্রচলিত ও সহজ।

ই-পাসপোর্ট কি ও এর বৈশিষ্ট 

ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) একটি উন্নতমানের পাসপোর্ট যা একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপের মাধ্যমে ধারকের ব্যক্তিগত এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করে। ই-পাসপোর্টগুলি সাধারণ পাসপোর্টের একটি আধুনিক সংস্করণ, যা আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের জন্য উন্নত নিরাপত্তা এবং আরও দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া প্রদান করে।

ই-পাসপোর্টের বৈশিষ্ট্য

ইলেকট্রনিক চিপ: ই-পাসপোর্টের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর ইলেকট্রনিক চিপ, যা পাসপোর্টের পেছনের কভারে এমবেড করা থাকে। এই চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন আঙুলের ছাপ, চোখের মণি স্ক্যান, এবং মুখের ছবি) এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য ডিজিটালি এনক্রিপ্টেড আকারে সংরক্ষিত থাকে।

বায়োমেট্রিক তথ্য: ই-পাসপোর্টে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙুলের ছাপ এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন ডেটা থাকে, যা নিরাপত্তার স্তর বাড়ায় এবং ভ্রমণকারীকে সনাক্ত করার প্রক্রিয়াকে দ্রুত এবং নির্ভুল করে।

উন্নত নিরাপত্তা: ই-পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য প্রদান করে, যেমন ডিজিটাল সিগনেচার, হোলোগ্রাম, এবং অপটিক্যাল ভ্যারিয়েবল ইমেজিং। এসব বৈশিষ্ট্য পাসপোর্টের অবৈধ ক্লোনিং বা জালিয়াতি প্রায় অসম্ভব করে তোলে।

আরো পড়ুন: নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা। নিমপাতা ব্যবহারের নিয়ম।

ইমিগ্রেশন সুবিধা: ই-পাসপোর্ট দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য ই-গেট ব্যবহার করতে দেয়, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসপোর্টের চিপ স্ক্যান করে এবং বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে সনাক্তকরণ করে।

আন্তর্জাতিক মান: ই-পাসপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO) দ্বারা নির্ধারিত মান অনুসারে তৈরি করা হয়।

ই-পাসপোর্ট বর্তমানে অনেক দেশেই বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে, এবং বাংলাদেশেও এটি একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া হিসেবে গৃহীত হয়েছে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে যেকোনো দেশের ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে দ্রুত এবং নিরাপদ ভ্রমণ সম্ভব।

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশ

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে কিভাবে করতে হয় সেটাও আমাদের জানা দরকার। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) তৈরি করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়। ই-পাসপোর্ট হল একটি উন্নত ধরনের পাসপোর্ট যেখানে ইলেকট্রনিক চিপের মাধ্যমে পাসপোর্টধারীর তথ্য সুরক্ষিত থাকে। নিচে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার বিস্তারিত ধাপগুলো দেওয়া হলো:

ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.epassport.gov.bd/landing গিয়ে "Apply Online" অপশন সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। ফরমটি পূরণের সময় পাসপোর্টের ধরন, আবেদনের কারণ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, পেশা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র জমা দিতে হয়। যেমন:

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) ফটোকপি অথবা ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি (অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় সরাসরি আপলোড করতে হবে)।
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে)।
  • ফি জমাদানের রশিদ।

তারপর আবেদন ফি অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, বা ব্যাংক চ্যালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ফি নির্ধারণ করা হয় পাসপোর্টের ধরন এবং জরুরী বা নিয়মিত প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে।

নিয়মিত (৪৮ পাতা, ৫ বছরের মেয়াদ): ৩,৫০০ টাকা।

জরুরি (৪৮ পাতা, ৫ বছরের মেয়াদ): ৫,৫০০ টাকা।

অতি জরুরি (৪৮ পাতা, ৫ বছরের মেয়াদ): ৭,৫০০ টাকা।

ফরম পূরণ এবং ফি জমা দেওয়ার পর, নির্দিষ্ট একটি তারিখে নির্ধারিত পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙুলের ছাপ এবং ডিজিটাল ছবি তোলা হবে। আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার পর তা প্রিন্ট করে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যেতে হবে। আবেদন পত্রে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিন। সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে এবং সমস্ত নথি যাচাইয়ের পর পাসপোর্ট প্রস্তুত করতে সাধারণত ৭ থেকে ২১ কার্যদিবস সময় লাগে (আবেদনের ধরণ অনুযায়ী)।

ই-পাসপোর্ট-করার-নিয়ম-বাংলাদেশে

পাসপোর্ট প্রস্তুত হওয়ার পর আবেদনকারীকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে এবং তারপর পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

ই-পাসপোর্টের সুবিধাসমূহ নিন্মে আলোচনা করা হলো:

উন্নত নিরাপত্তা: ই-পাসপোর্টে থাকা ইলেকট্রনিক চিপে ব্যক্তিগত তথ্য ও বায়োমেট্রিক তথ্য এনক্রিপ্ট করা থাকে, যা ক্লোন করা প্রায় অসম্ভব করে তোলে।

দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া: বিমানবন্দর ও সীমান্তে ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুত ইমিগ্রেশন চেকিং করা যায়।

স্বয়ংক্রিয় যাচাইকরণ: ই-পাসপোর্টের তথ্য ডিজিটালি যাচাই করা যায়, যা জালিয়াতি প্রতিরোধে কার্যকর।

পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্টের পার্থক্য কি

পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্টের পার্থক্য অনেকগুলো লক্ষ করা যায়। ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যদিও উভয়ই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়, ই-পাসপোর্ট আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আরও উন্নত সুরক্ষা ও বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। নিচে ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:

বৈশিষ্ট্য সাধারণ পাসপোর্ট ই-পাসপোর্ট
চিপ নেই আছে (ইলেকট্রনিক চিপের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ)
তথ্য সংরক্ষণ কাগজে মুদ্রিত চিপে বায়োমেট্রিক ডেটা ও কাগজে মুদ্রিত তথ্য
নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম সুরক্ষিত উচ্চতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যেমন ফেসিয়াল রিকগনিশন ও এনক্রিপশন
তথ্য যাচাইকরণ ভিসুয়াল ইনস্পেকশন এবং বারকোড স্ক্যানের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক স্ক্যানারের মাধ্যমে দ্রুত এবং সুনির্দিষ্ট যাচাইকরণ
বায়োমেট্রিক তথ্য নেই আছে (ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেসিয়াল রিকগনিশন ইত্যাদি)
ইস্যু ও নবায়ন প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া, বেশি সময় লাগে আধুনিক এবং আরও দ্রুত, অনলাইনে আবেদন এবং তথ্য যাচাইকরণ সম্ভব
সনাক্তকরণ গতি অপেক্ষাকৃত ধীর দ্রুত এবং কার্যকর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে ই-গেট ব্যবহার করা হয়
জালিয়াতি প্রতিরোধ তুলনামূলকভাবে বেশি জালিয়াতির ঝুঁকি উন্নত প্রযুক্তির কারণে জালিয়াতি প্রায় অসম্ভব
বৈধতা চিহ্ন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম অনেক উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যেমন হোলোগ্রাম এবং ডিজিটাল সিগনেচার

লেখকের মতামত: পাসপোর্ট করার নিয়ম বাংলাদেশে

পাসপোর্ট তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্ট করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে অনুগ্রহ করে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা পাসপোর্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত আরও তথ্য এবং সহায়তার জন্য পাসপোর্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন বা হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলীবিডিটেক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url