বাংলা মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৪ ইংরেজি মাস অনুসারে
বাংলা মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৪ জেনে নিন। আমরা সকলে বাঙালী হবার পরও অনেক সময় বাংলা মাস ও তারিখ ভূলে যায়। আজ আমাদের আর্টিকেলটি বাংলা মাসের নাম ক্যালেন্ডার নিয়ে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে বাংলা বারো মাসের দিন তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
বাংলা বারোটি মাস ও ছয় ঋতুর সমন্বয়ে এক বছর পুর্ণ হয়। আমরা ইংরেজি মাস ধরে চলতে বা হিসেব রাখতে বর্তমানে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমরা অনেক বাংলা মাসের নাম পর্যন্ত ভুলতে চলেছি। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার বাংলা মাসের নাম ক্যালেন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূচীপত্র
- বাংলা মাসের নামকরণের ইতিহাস
- বাংলা মাসের ঋতুর বনাম ইংরেজী মাসের ঋতু
- বাংলা মাসের সাথে ইংরেজি মাসের তুলনা
- বাংলা মাসের নাম ক্যালেন্ডার
- জানুয়ারী ( পৌষ-মাঘ)
- ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন)
- মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র)
- এপ্রিল (চৈত্র-বৈশাখ)
- মে (বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য)
- জুন (জৈষ্ঠ্য- আষাঢ়)
- জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ)
- আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র)
- সেপ্টেম্বর (ভাদ্র- আশ্বিন)
- অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক)
- নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ)
- ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ)
- লেখকের মতামত
বাংলা মাসের নামকরণের ইতিহাস
বাংলা ১২ মাসের নামকরণের ইতিহাস মূলত প্রাচীন ভারতীয় চন্দ্র ও সৌর ক্যালেন্ডার থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এই মাসগুলোর নামকরণ ব্যবস্থা বৈদিক যুগ থেকে শুরু হয়েছে এবং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। প্রতিটি মাসের নাম একটি নির্দিষ্ট নক্ষত্র বা নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে সম্পর্কিত। বৈদিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে চন্দ্র যখন একটি নির্দিষ্ট নক্ষত্র বা নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে যুক্ত থাকে তখন সেই সময়ের জন্য মাসের নাম নির্ধারিত হয়। বৈদিক সভ্যতা মূলত সিন্ধু সভ্যতা পতনের পরে প্রাচীন ভারতে প্রধান সভ্যতা হিসেবে প্রচলিত ছিল। এটি খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সাল থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ সালের মধ্যে ছিল।
আরো পড়ুন: রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার। পুদিনা পাতার উপকারিতা।
প্রতিটি মাসের নাম কেবলমাত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং প্রাকৃতিক ঋতুচক্র এবং কৃষিকাজের সাথে সম্পর্কিত। এই মাসগুলি সংস্কৃতির বিভিন্ন উৎসব এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও সংযুক্ত। বাংলার গ্রাম্য জীবনে এখনো এই মাসগুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
- বৈশাখ: বৈশাখ মাসের নাম এসেছে বিশাখা নামক নক্ষত্র থেকে। এটি বাংলা বছরের প্রথম মাস এবং এটি চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপন এবং বৈশাখী মেলার সাথে সম্পর্কিত।
- জ্যৈষ্ঠ: জ্যৈষ্ঠ মাসের নাম এসেছে জ্যেষ্ঠা নামক নক্ষত্র থেকে। এই মাসে তাপদাহ শুরু হয় এবং প্রচুর ফল পাওয়া যায় ।
- আষাঢ়: আষাঢ় মাসের নাম এসেছে আষাঢ়া নামক নক্ষত্র থেকে। এটি বর্ষার শুরু এবং চাষাবাদের মৌসুমের সূচনা চিহ্নিত করে।
- শ্রাবণ: শ্রাবণ মাসের নাম এসেছে শ্রবণা নামক নক্ষত্র থেকে। এই মাসে বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি হয় এবং তাই এটি কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ভাদ্র: ভাদ্র মাসের নাম এসেছে উত্তরাফাল্গুনী এবং হস্ত নামক নক্ষত্র থেকে। এই মাসে সাধারণত ফল এবং শস্য সংগ্রহ শুরু হয়।
- আশ্বিন: আশ্বিন মাসের নাম এসেছে আশ্বিনী নামক নক্ষত্র থেকে। এই মাসটি শরৎকালের সূচনা চিহ্নিত করে।
- কার্তিক: কার্তিক মাসের নাম এসেছে কৃত্তিকা নামক নক্ষত্র থেকে। এটি হেমন্ত ঋতুর শুরু এবং শীতের আগমন ঘটে।
- অগ্রহায়ণ: অগ্রহায়ণ মাসের নাম এসেছে মৃগশিরা নামক নক্ষত্র থেকে। এটি কৃষি মৌসুমের সমাপ্তি এবং নতুন ধান কাটা শুরু হয়।
- পৌষ: পৌষ মাসের নাম এসেছে পুষ্য নামক নক্ষত্র থেকে। এই মাসে শীতকাল থাকে এবং ক্ষেত খামারের কাজ কম থাকে।
- মাঘ: মাঘ মাসের নাম এসেছে মঘা নামক নক্ষত্র থেকে। এই মাসে শীতের প্রভাব কমতে শুরু করে।
- ফাল্গুন: ফাল্গুন মাসের নাম এসেছে উর্বা ফল্গুনী এবং উত্তর ফল্গুনী নক্ষত্র থেকে। এই মাসে বসন্তের আগমন ঘটে এবং ফুল ফুটতে শুরু করে।
- চৈত্র: চৈত্র মাসের নাম এসেছে চিত্রা নামক নক্ষত্র থেকে। এটি বাংলা বছরের শেষ মাস এবং গ্রীষ্মের আগমন ঘটে।
বাংলা মাসের ঋতুর বনাম ইংরেজী মাসের ঋতু
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এখানে বারো মাসে ছয় ঋতু দেখা যায়। অর্থ্যাৎ দুই মাসের সমন্বয়ে একটি ঋতু হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে ইংরেজি একটি পূর্ণমাস ও দুইটি অর্ধেক মাসের সমন্বয়ে একটি ঋতু হয়। বাংলা ও ইংরেজি ঋতুগুলো মাসের নামসহ ছক আকারে নিন্মে দেওয়া হলোঃ
বাংলা ঋতুর নাম | বাংলা মাসের নাম | ইংরেজী ঋতুর নাম | ইংরেজী মাসের নাম |
---|---|---|---|
গ্রীষ্মকাল | বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য | Summer | 14 April to 14 June |
বর্ষাকাল | আষাঢ় ও শ্রাবণ | Rainy Season | 15 June to 15 August |
শরৎকাল | ভাদ্র ও আশ্বিন | Autumn | 16 August to 15 October |
হেমন্তকাল | কার্তিক ও অগ্রহায়ণ | Late Autumn | 16 October to 15 December |
শীতকাল | পৌষ ও মাঘ | Winter | 16 December to 13 February |
বসন্তকাল | ফাল্গুন ও চৈত্র | Spring | 14 February to 13 April |
বাংলা মাসের সাথে ইংরেজি মাসের তুলনা
বাংলা সনের মাসগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। বাংলা সনের বারোটি মাস আছে, প্রতিটি মাসের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ঋতুর সাথে সম্পর্ক রয়েছে।
- বৈশাখ: বাংলা বছরের প্রথম মাস। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে উদযাপিত হয়। এই সময় ইংরেজি মাসের ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বৈশাখ মাস। এ মাসটি গ্রীষ্মকালীন সময়, তাই গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া থাকে। কৃষিকাজের জন্য এ সময় গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে আম, লিচু, জাম, কাঁঠাল, তরমুজসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় পটল, শসা, লাউ, কুমড়া, ঝিঙে, করলা, চালকুমড়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- জ্যৈষ্ঠ: বাংলা বছরের দ্বিতীয় মাস হলো জৈষ্ঠ্য মাস। এই মাস গ্রীষ্মের শেষ মাস। ইংরেজি ১৫ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত এই মাস থাকে। এই মাসকে "মধুমাস" বলা হয় কারণ বিভিন্ন রকমের ফল, বিশেষ করে আম, লিচু, জাম ইত্যাদি এই সময় পাওয়া যায়। এসময় গরম ও আর্দ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময়ে আম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচু, জামরুলসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় বেগুন, করলা, পটল, ঢেঁড়স, মুলা, ঝিঙে ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- আষাঢ়: বাংলা বছরের তৃতীয় মাস হলো আষাঢ়। এই মাস বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস। ইংরেজি ১৫ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এই মাস। আষাঢ় মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয় এবং কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু করে।এই সময়ে লিচু, কাঁঠাল, আম, জাম, আনারসসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় ঢেঁড়স, পটল, কুমড়া, শসা, লাউ, চালকুমড়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- শ্রাবণ: বাংলা বছরের চতুর্থ মাস হলো শ্রাবণ। এটি বর্ষাকালে দ্বিতীয় মাস। ইংরেজি ১৫ জুলাই থেকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত এই মাস। এই সময় বৃষ্টি আরও বাড়ে, এবং নদী-নালা পূর্ণ হয়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এই সময়ে আনারস, কাঁঠাল, কলা, জামসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় ঢেঁড়স, কচু, বেগুন, লাউ, পটল, কুমড়া, শসা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- ভাদ্র : বাংলা বছরের পঞ্চম মাস হলো ভাদ্র। এটি শরৎকালের প্রথম মাস। এই মাসটি বর্ষা এবং শরৎ এর সেতুবন্ধন। ইংরেজি ১৫ আগষ্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মাস। এই মাসে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসে এবং প্রকৃতিতে কিছুটা শীতলতা অনুভূত হয়। এই মাসে কৃষিকাজের ব্যস্ততা থাকে।এই সময়ে পেয়ারা, আনারস, কলা, আমড়াসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় ঢেঁড়স, বেগুন, কচু, পুঁইশাক, মুলা, পটল, চালকুমড়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- আশ্বিন : বাংলা বছরের ষষ্ঠ মাস হলো আশ্বিন। এটি শরৎকালের শেষ মাস। ইংরেজি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই মাসের পরিধি। এসময় আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং চারদিকে শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে। এই মাসে হেমন্তের আগমনী বার্তা পাওয়া যায়।এই সময়ে পেয়ারা, কলা, আমড়াসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় লালশাক, মুলা, বেগুন, শসা, পটল, কচু ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- কার্তিক : বাংলা বছরের সপ্তম মাস হলো কার্তিক। এটি হেমন্তকালের প্রথম মাস। ইংরেজি ১৫ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই মাসের পরিধি। এই মাসে ধান কাটার সময় চলে আসে। গ্রামবাংলার কৃষকেরা ফসল কাটার জন্য ব্যস্ত থাকে।এই সময়ে পেয়ারা, কলা, আমড়াসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় মুলা, কচু, বেগুন, ঢেঁড়স, পালং শাক, শসা, পুঁইশাক ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- অগ্রহায়ণ : বাংলা বছরের অষ্টম মাস হলো অগ্রহায়ণ। এটি হেমন্তকালের শেষ মাস। ইংরেজি ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় ও ১৪ ডিসেম্বর শেষ হয় এই মাস। এই মাসটি হলো নবান্ন উৎসবের মাস। নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠা-পুলির আয়োজন হয়।এই সময়ে কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা, গাজর, পালং শাক, টমেটো, বেগুন, লাউ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- পৌষ : বাংলা বছরের নবম মাস হলো পৌষ। এটি শীতকালের প্রথম মাস। এই মাস থেকে শীতকাল শুরু হয়। ইংরেজি ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি এই মাসের পরিধি। এই মাসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এ মাসে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি পাওয়া যায়। পিঠা-পুলি বানানোর জন্য এই মাসটি বিখ্যাত।এই সময়ে পেঁপে, কলাসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, গাজর, মুলা, পালং শাক, টমেটো, বেগুন, লাউ, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- মাঘ : বাংলা বছরের দশম মাস হলো মাঘ মাস। এই মাস শীতকালের শেষ মাস। ইংরেজি ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মাসের পরিধি। এসময় শীতের প্রভাব কমতে থাকে এবং বসন্তের আগমনী বার্তা পাওয়া যায়।এই সময়ে পেঁপে, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, পালং শাক, শালগম, টমেটো, বেগুন, লাউ, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- ফাল্গুন : বাংলা বছরের একাদশ মাস হলো ফাল্গুন। এই মাস বসন্ত কালের প্রথম মাস। ইংরেজি ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত এই মাসের পরিধি। চারিদিকে ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে, গাছে নতুন পাতা গজাতে থাকে। বসন্তের রঙে প্রকৃতি সেজে ওঠে। পহেলা ফাল্গুনে বসন্ত উৎসব উদযাপিত হয়।এই সময়ে পেঁপে, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় গাজর, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, শালগম, বেগুন, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
- চৈত্র : বাংলা বছরের শেষ মাস হলো চৈত্র। এটি বসন্ত কালের শেষ মাস। ইংরেজি ১৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই মাস। এই মাসে হালকা গরম শুরু হয়, মৃদু ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এবং চৈত্রসংক্রান্তি নামে বছরের শেষ দিনটি পালন করা হয়।এই সময়ে বাঙ্গি, তরমুজ, পেঁপেসহ বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এসময় বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, লালশাক, পালং শাক, কুমড়া, লাউ, কচু ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়।
বাংলা মাসের নাম ক্যালেন্ডার
জানুয়ারী ( পৌষ-মাঘ)
ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন)
মার্চ (ফাল্গুন-চৈত্র)
এপ্রিল (চৈত্র-বৈশাখ)
মে (বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য)
জুন (জৈষ্ঠ্য- আষাঢ়)
জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ)
আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র)
সেপ্টেম্বর (ভাদ্র- আশ্বিন)
অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক)
নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ)
ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ
লেখকের মতামত
আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের আর্টিকেলে ইংরেজি, বাংলা ও আরবি ক্যালেন্ডার একই সাথে তুলে ধরা হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন সরকারি ছু্টির দিন গুলো উল্লেখ করে মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।
ডেইলীবিডিটেক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url