কালোজিরা সর্বরোগের মহাষৌধ | কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা কম বেশি আমরা সবাই চিনি। কালোজিরাকে সর্বরোগের ঔষধ বলা হয়ে থাকে। আজকে আমাদের আর্টিকেলে কালোজিরা উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা কালোজিরার পূর্ণ গুনাগুন সম্পর্কে একটা ধারনা পাবেন।
কালোজিরা খাবারের স্বাদে ভিন্নতা আনে যা অন্য যেকোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি নয় প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। তাছাড়াও এর রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আজকের আলোচনা করব।
পোষ্ট সূচিপত্র
কালোজিরা পরিচিতি
কালোজিরা ইংরেজিতে(Black caraway, Black Cumin, Nigella, Kalojeera, Kalonji) ইত্যাদি নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Nigella sativa Linn. এটি তিন কোনা বিশিষ্ট একটি বীজ। এই বীজ খাবারের মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে পাঁচফোড়ন মশলার একটি অন্যতম উপাদান হলো এই কালোজিরা। তাছাড়াও এটি আযুবের্দীয়, ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কালোজিরার গাছ পরিচিত
কালোজিরা মাঝারি নরম জাতীয় মৌসুমী উদ্ভিদ। এই গাছ একবার ফল ও ফুল হয়ে মারা যায়। গাছ উচ্চতায় ২০-৩- সে.মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর পাতা সরু ও চিকন ধরনের হয়। পাতার রং সবুজের বর্ণের হয়ে থাকে। এর পাতা জোড়ায় জোড়ায় হয়ে থাকে। এই গাছে স্ত্রী ও পুরুষ দুই ধরনের ফুল হয়ে থাকে। এর ফুল নীলচে সাদা কিছু কিছু ক্ষেত্রে হলুদাভ হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: জয়তুন তেলের উপকারিতা । জয়তুন তেল সৌন্দর্য ও সুস্থতার যোগসূত্র।
কালোজিরার ফুুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। এই গাছে ফুল থেকে ফল হয়। এই ফল গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে। ফলের কিনারায় আকার্শির মত বাড়তি অংশ থাকে। এই ফল যখন পেকে যায় তখন এর থেকে কালো রংয়ের বীজ বের হয়। এটাই মূলত কালোজিরা। একটি ফল থেকে ২০-২৫ কালোজিরা থাকতে পারে।
কালোজিরা চাষাবাদ পদ্ধতি
কালোজিরা যে কোন মাটিতেই জন্মাতে পারে। তবে দো আশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। অগ্রাহয়নের শেষ থেকে পৌষ মাসের প্রথম পর্যন্ত এই বীজ বপন করা যায়। কালোজিরা বপনের জন্য প্রথমে জমি কুপিয়ে বা লাঙ্গল দিয়ে চাষ করে প্রস্তুত করতে হবে। জমিতে ঘাস থাকলে নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
তারপর এক ফুট পরপর ১-৪ ইঞ্চি গর্ত করে ২-৩ টি বীজ পুতে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বীজ যেন বেশি গভীরে না যায়। বীজ লাগানোর পরে পাখিতে যাতে বীজ না খেয়ে ফেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই বীজ থেকে ১২-১৬ দিনের মধ্যে চারা গজাবে। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ৈজৈব সার ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
কলোজিরা বপনের ১২-১৬ দিনের মধ্যে চারা জন্ম লাভ করে। এই গাছ বপনের ৩০-৪০ দিনের মাথায় ফুল আসে এবং ৩৫-৪২ দিনের মাথায় ফল আসা শুর করবে। এর ফল পাকতে সাধারণত ৪৪-৫৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এই গাছ বপনের ৬০-৮০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে উঠানো যাবে। অর্থাৎ পৌষের প্রথমে বপন করলে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফসল ঘরে তোলা যাবে।
ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাছ মারা গেলে তা জমি থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে ২ দিন রোদে শুকাতে দিতে হয়। তারপর সেই গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করতে হয়। গাছ সামান্য কাঁচা থাকতেই কেটে নেওয়া উচিত। তা নাহলে বীজ জমিতে ঝরে পড়তে পারে। ১০ শতাংশ মাটিতে চাষ করলে ২৫-৩৫ কেজি পর্যন্ত কালোজিরা পাওয়া যায়।
কালোজিরার পুষ্টিগুন
কালোজিরার পুষ্টিগুন সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানতে চান। কালিজিরার কি কি পুষ্টিগুন আছে তা আমরা আজকে আলোচনা করব। কালোজিরাতে অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি গ্রাম কালোজিরাতে রয়েছে প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম, আয়রন ১০৫ মাইক্রোগ্রাম, কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম, জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম।
এছাড়াও রয়েছে ফসফরাস ৫.২৬ মাইক্রোগ্রাম, ফোলাসিন ৬১০ আইউ, ভিটামিন বি১ মাইক্রোগ্রাম ইত্যাদি। কালোজিরার মধ্যে আমিষের পরিমান ২১ শতাংশ, ভেষজ তেল ও চর্বি বা স্নেহ এর পরিমান ৩৫ শতাংশ, শর্করার পরিমান ৩৮ শতাংশ এবং ভিটামিন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ বিদ্যমান রয়েছে। কালোজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যে রয়েছে থাইমোকিনোন, নাইজেলোন ও স্বাস্থ্যকর তেল।
তাছাড়া কালোজিরা তেলের মধ্যে রয়েছে অলিক এসিড, লিনোলিক এসিড, লৌহ, ফসফেট, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, সেলেনিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি২, নিয়াসিনসহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। এগুলো সবগুলো উপাদান আমাদের শরীরের জন্য ভীষন উপকারী।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা হলো সর্বরোগের মহাষৌধ। সর্বরোগের চিকিৎসায় কোন উপাদানের নাম আসলে সর্বপ্রথম কালোজিরার নাম আসবে। কালোজিরার পুষ্টিগুন নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি এখন আলোচনা করব এর উপকারিতা নিয়ে। কালোজিরার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিন্মে কালোজিরার উপকারিতা বিস্তারিত ভাবে তুল ধরা হলো।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অসামান্য অবদান রাখে। কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ঔষধি উপাদান যা শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সতেজ রাখতে সাহায্য করে। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
- মুখের ব্রন দূর করতে: ত্বক ভালো রাখতে আমরা অনেক দামী দামী প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। যেগুলো অনেক সময় আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর প্রতীয়মান হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে যদি আমরা কালোজিরা বেটে তাদের লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে ব্যবহার করি তাহলে মুখের ব্রন থেকে সহজেই পরিত্রান পাওয়া যায়।
- চুল পড়া রোধ: কালোজিরা চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করে থাকে। কালোজিরার তেল এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। কালোজিরার তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করে। তাছাড়া এটি চুলের বৃদ্ধিতে সহয়তা করে। কালোজিরার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
- সর্দি কাশি সারাতে: সর্দি কাশি সারাতে কালোজিরা খুবই কার্যকর। কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সহজেই সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া কালোজিরার তেল এর সাথে তুলসি পাতার রস খেলেও সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- মাথা ব্যথা সারাতে: মাথা ব্যথা সারাতে কালোজিরা খুবই উপকারী। মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরার তেল মাথায় লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষন মাথায় দিয়ে রাখলে মাথাব্যাথা ঠিক হয়ে যাবে।
- অ্যাসিডিটি সমস্যায়: অ্যাসিডিটির সমস্যার সমাধান পেতে হলে প্রতিদিন কালোজিরা সেবন করুন। এক কাপ দুধের সাথে পরিমান মতো কালোজিরার তেল মিশিয়ে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- পেটের সমস্যা সমাধানে: যারা নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভুগেন তার নিয়মিন কালোজিরা সেবন করতে পারেন। সেই জন্য কালোজিরা ভেজে গুড়া করে নিতে হবে। তারপর এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক সপ্তাহ পান করলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- ডায়েটে কালোজিরা: যারা ডায়েট করতে চাচ্ছেন তারা প্রতিনিয়ত প্রতিটি তরকারিতে কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন। রুটি বানাতে ময়দার সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া মধু ও পানির সাথে কালোজিরা খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। তবে টক দইয়ের সাথে কালোজিরা সেবন করা বেশি উপকারী।
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে: শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে কালোজিরা সক্ষম। কালোজিরাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপদান যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে: কালোজিরাতে নানা রকমের পুষ্টি উপাদান যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া এটি চোখের লাল ভাব ও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কালোজিরার ভূমিকা অপরিসীম। কালোজিরা গরম চা অথবা জলের সাথে নিয়মিত সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কালোজিরার তেল খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস হলো সমস্ত রোগের মূল। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সাথে কালোজিরার তেল খাওয়া প্রয়োজন।
- লিভারের সমস্যায়: লিভারের সমস্যা সমাধানে কালোজিরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কালোজিরাতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ কমাতে সক্ষম। যার ফলে লিভার সুস্থ থাকে।
- ব্যথার জন্য: শরীরের ব্যথা বা হাড়ের ব্যথার জন্য কালোজিরার তেল খুবই উপকারী। শরীরের ব্যথা বা অথ্রাইটিস এর ব্যথা কমানো জন্য নিয়মিত কালোজিরা সেবন করা যেতে পারে।
- কিডনির সমস্যায়: কিডনির সমস্যা সমাধানে কালোজিরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কালোজিরাতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ কমাতে সক্ষম। যার ফলে কিডনি সুস্থ থাকে। উষ্ণ পানির সাথে সামান্য পরিমান কালোজিরা গুড়া ও মধু মিশিয়ে সেবন করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায়: মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় কালোজিরার তেল খুবই কার্যকরী উপাদান। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে আযুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে কালোজিরার তেল ব্যবহার করা হয়। কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফ্যাটি এসিড, দস্তা ও আয়রন এর উপদান যা মানুষের কার্যকারিতা ও চিন্তা শক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া এটি মানুষের স্মৃতিশক্তিকেও ধরে রাখে।
- শ্বাস কষ্ট থেকে মুক্ত করতে: বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে শাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে শ্বাস কষ্টের এই সমস্যা থেকে কালোজিরা অনায়াসে মুক্তি দিতে পারে। উষ্ণ পানির সাথে সামান্য পরিমান কালোজিরা গুড়া মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- কোলেস্টরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে: শরীরে খারাপ কোলেস্টরল এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এটি আমাদের হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিয়মিত কালোজিরা সেবন করলে কালোজিরা শরীরের খারাপ কোলেস্টরল বের করে দেয় এবং ভালো কোলেস্টরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে আমাদের হৃদপিন্ড সতেজ থাকে।
- চর্মরোগের জন্য: চর্মরোগ থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা ব্যবহার করা যেতে পারে। যেস্থানে চর্মরোগ দেখা দেয় সে স্থানে কালোজিরার তেল মালিশ করা যেতে পারে। এছাড়াও কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে কালোজিরার তেল ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে চর্মরোগ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
কালোজিরার উপকারিতা হাদিসের আলোকে
ইসলাম েকালোজিরা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। নিন্মে এর কিছু তুলে ধরা হলো:
- বিশ্বনবী হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি রয়েছে।
- হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তুমি যদি সকালে এক চামচ কালোজিরা ও এক চামচ পানি মিশিয়ে খাও, তাহলে তুমি সারাদিন কোনো রোগে আক্রান্ত হবে না। (ইবনে মাজাহ-৩৪৭১)ৎ
- হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, কালোজিরা তেল মালিশ করো। এতে প্রতিটি রোগের নিরাময় রয়েছে, ব্যতীত বাতিক ছাড়া। (তিরমিজী-২৭৩৭)
-
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি কালোজিরা
খাবে সে কোনদিন পাগল হবে না এবং কোনদিন কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হবে না। (সহীহ
বুখারী-৫৬৮৭)
- হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রোজ সকালে সাতটি করে কালোজিরা খাও। এতে প্রতিটি রোগের নিরাময় রয়েছে, ব্যতীত বাতিক ছাড়া। (তিরমিজী-২৭৩৬)
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- এক চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস এক কাপ চায়ের সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল খাওয়া যেতে পারে এতে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে এবং মেধাবিকাশের কাজ ত্বরান্বিত করবে।
- এক চামচ কালোজিরার সাথে তিন চামচ মধু ও দুই চামচ তুলসী পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। এত করে জ্বর, ব্যাথা, সর্দি কাশি দূর হবে।
- কালোজিরা তরাকারির সাথে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- কালোজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- কাচা কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন।
- রুটি বানানোর সময় কাঁচা রুটির উপর কালোজিরা ছিটিয়ে দিতে পারেন।
- চাটনি করার সময় কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন।
- কালোজিরার ভর্তা করে খেতে পারেন।
কালোজিরার অপকারিতা
- কালোজিরা তেল অতিরিক্ত পরিমানে ত্বকে লাগলে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত কালোজিরা সেবন করলে রক্ত জমাট বাঁধা কমে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত কালেজিরা সেবনে রক্তে শর্করার পরিমান কমে যেতে পারে।
- রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা এটি সেবনের জন্য নিয়মিন ডায়াবেটিক পরীক্ষা করতে হবে।
- বুক জ্বালা ও বমি বমি ভাব আসতে পারে।
- এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের অকাল গর্ভপাত হতে পারে।
ডেইলীবিডিটেক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url