জয়তুন তেলের উপকারিতা । জয়তুন তেল সৌন্দর্য ও সুস্থতার যোগসূত্র
Belal
১ জুল, ২০২৪
জয়তুন তেল অনেক উপকারী একটি তেল। জয়তুন তেল সম্পর্কে আমাদের অনেকের তেমন কোন
ধারণা নেই। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে জয়তুন তেল সম্পর্কে জানব। আশা করি আপনারা
আজকে জয়তুন তেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।
জয়তুন তেল এমন একটি তেল যা আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য একটি বিশেষ
খাবর ও প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে । আজকের আর্টিকেলে আমরা জয়তুন তেল কি এবং
এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
জয়তুন তেলে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিগুন। তেল আমাদের জীবনে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিশেষ করে খাবার রান্না করতে হলে আমাদের তেল ছাড়া চলে না। সব রকমের তেলের মধ্যে
জয়তুন তেলের উপকারিতা অন্য যেকোন তেলের তুলনায় অনেক গুন বেশি।
জয়তুন একটি আরবি শব্দ। একে বাংলাতে বলতে গেলে জলপাই বলা হয়। তবে আমাদের দেশে যে
জলপাই পাওয়া যায় আর জয়তুন দুটি সম্পূর্ণ আলাদা ফল। জলপাইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম
Elaeocarpus Serratus পক্ষান্তরে জয়তুনের বৈজ্ঞানিক নাম Olea europaea. দুটি ফল
দেখতে একই হলেও এদের মধ্যে স্বাদ ও গঠনগত পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
জয়তুনকে ইংরেজী ভাষায় অলিভ নামে ডাকা হয়। জয়তুন নামক ফল থেকে নিঃসৃত তেলকে জয়তুন
তেল বা অলিভ অয়েল নামে ডাকা হয়। জয়তুন মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি ফল। সেখানে
এই ফল থেকে তেল তৈরি করা হয়। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এই তেলকে সেই অঞ্চলের তরল সোনা
বলা হয়ে থাকে।
জয়তুন গাছ পরিচিতি
যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হলো জয়তুনের পাতা ও মানুষের শান্তির দূত হলো জয়তুনের তেল।
জয়তুন গাছ এক ধরণের চিরহরিৎ বৃক্ষ। জয়তুন গাছ ৮-১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
এই গাছের পাতা ৪-১০ সে.মি পর্যন্ত লম্বা ও ১-৩ সে.মি পর্যন্ত প্রশস্ত হয়ে থাকে।
জয়তুন ফল বেশ ছোট আকারের হয়ে থাকে। এর ফল প্রায় ১-২.৫ সে.মি পর্যন্ত লম্বা হয়ে
থাকে।
জয়তুন গাছ কোথায় পাওয়া যায়
জয়তুন গাছ মূলত ভূমধ্যসাগরীয় জন্মায়। এই অঞ্চলে দেশগুলোর মধ্যে গ্রীস, ইতালী,
স্পেন, তুরস্ক, লেবানন,সিরিয়া, ইরান ও ফিলিস্তিন ইত্যাদি দেশ রয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয়
দেশ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চিলি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের কিছু
কিছু জায়গায় এই গাছ জন্মায়। বাংলাদেশে এখন জয়তুন ফলের চাষাবাদ শুরু হয়নি। তবে
কিছু কিছু উদ্যেক্তাে এই গাছ চাষাবাদের চেষ্টা করছেন।
জয়তুন গাছের চাষাবাদ পদ্ধতি
জয়তুন গাছ চাষের জন্য মূলত উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া দরকার হয়। এই গাছ লবনাক্ত
মাটিতেও জন্মাতে পারে। এই গাছ চাষের জন্য মাটির pH ৬.৫ থেকে ৮.৫ এর মধ্যে হওয়া
উচিত। জয়তুন গাছের চাষ মূলত বীজ থেকে করা হয়। তবে কাটিং থেকেও এই গাছের চাষ করা
হয়ে থাকে। জয়তুন গাছ চাষের জন্য সাধারণত ৪ থেকে ৫ বছরের বীজ বা কাটিং ব্যবহার করা
হয়।
জয়তুন গাছ লাগানোর জন্য গভীর ও ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থাযুক্ত মাটি নির্বাচন করতে
হবে। জয়তুন গাছ লাগানোর পরে ভালোভাবে পানি দিতে হবে। গাছ মাটিতে লেগে যাওয়ার পরে
নিয়মিতভাবে পানি দিতে হবে। সময়মত সার প্রয়োগ করতে হবে। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
প্রয়োজনে পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করতে হবে।
জয়তুন তেলের উপকারিতা
জয়তুন তেল রান্না বা ত্বক পরিচর্যা করার জন্য অনেক জনপ্রিয় একটি তেল। জয়তুন তেল
অনেক পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর তেল। জয়তুন তেল নিয়মিত খেলে বা ব্যবহার করলে অনেক
উপকার পাওয়া যায়। নিন্মে জয়তুন তেলের উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতায়: হৃদযন্ত্রের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য
নিয়মিত বিরতীহীন রক্ত চলাচলের প্রয়োজন হয়। আমরা বিভিন্ন সময় খাবারের সাথে ফ্যাট
জাতীয় খাবার গ্রহণ করে থাকি। যা আমাদের রক্তের চর্বির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে করে
আমাদের শরীরের রক্তের LDL & TG এর মাত্রা বেড়ে যায়। যা আমাদের হৃদযন্ত্রের
জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
জয়তুনের তেলে রয়েছে অলেইক অ্যাসিড যা রক্তের খারাপ কোলেস্টরল LDL & TG এর
মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ডকে ভালো রাখে। রক্তচাপ কমাতেও এই তেলের কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে থাকে। এতে বিদ্যমান মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও হৃদপিন্ডের
জন্য উপকারি। এই তেলে বিদ্যমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিহত
করে রক্তনালী ব্লক হওয়া থেকে রক্ষা করে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রের জন্য: জয়তুন তেল অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন
প্রকার কার্যকারী ভুমিকা পালন করে। অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকির
অন্যতম কারণ। বিশেষ করে স্থুলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ইত্যাদি
সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া শরীরের ওজন বেড়ে গেলে চলা ফেরায় অনেক সমস্যা হয়। এক
সকল অসুবিধা বাঁচতে হলে নিয়মিত খাবারের সাথে অলিভ বা জয়তুন তেল গ্রহন করা যেতে
পারে।
জয়তুন তেলে এক প্রকার ইনসুলিন আছে যা হরমোনের সাথে মিশে রক্তে শর্করা বাড়িয়ে ওজন
নিয়ন্ত্রনে রাখে। এতে করে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বসা বাঁধতে পারে না। শরীরে চর্বি
বাসা না বাঁধা ওজন বৃদ্ধি না পাওয়ার সমাধান হিসেবে কাজ করে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য: জয়তুন তেল ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ
করে। ক্যান্সারের জীবানু শরীরে আক্রমন করলে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ আকার
ধারণ করে। সাধারণত অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ সব সময় ক্যান্সার ভাইরাস প্রতিরোধের পরামর্শ
দিয়ে থাকেন। কারণ একবার হলে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে আর ঠিক হয় না। জয়তুন তেল এ
ভিটামিন ই থাকে যা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। তাছাড়া এই তেলে
স্কোয়ালেন এবং টেরপেনয়েড নামক দুটি যৌগ থাকে যা সরাসরি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ
করে থাকে।
ত্বকের যত্নে: জয়তুন তেলে রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বকের যত্নে উপকারি। এই
ভিটামিন ই ত্বককে ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে সুরক্ষা করে। এছাড়া
অতিরিক্ত কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রন করেও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এই তেল ত্বকের
এলার্জি থেকে নিরাপত্তা দেয়। পাশাপাশি এই তেল ত্বকের লাবন্য ধরে রাখতে সহায়তা
করে। গর্ভবস্থায় তলপেটে সৃষ্ট দাগ দূর করতেও ভূমিকা রাখে।
চুল ও দাড়ির যত্নে: জয়তুন তেল চুল ও দাড়ির যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক
আগে থেকেই। চুল ও দাড়িতে এই তেল ব্যবহার করলে চুল ও দাড়ি সাদা হয়ে যাওয়া থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়। গোসলের পূর্বে এই তেল ব্যবহারের ফলে দাড়ির নিচের ত্বক ভালো
থাকে। নবী করিম (সাঃ) দাড়ির যত্নে এই তেল ব্যবহার করতেন।
আলসার প্রতিরোধে: জয়তুন তেল আলসার বা পেট যে কোন ধরনের ঘা থাকলে তা দ্রুত
ভালো করতে অনেক কার্যকর। জয়তুন তেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্বভাব আলসার বা পেটে
যে কোন ধরনের ঘা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
হজমে সহায়তা করে: জয়তুন তেল হজমে সহায়তা করে থাকে। আমাদের যাদের খাবার
খেলে হজম করতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তারা খাবারের যেকোন তেলের পরিবর্তে জয়তুন
তেল ব্যবহার করলে তা হজম সমস্যার সমাধান করে থাকে। এই তেল ব্যবহারের ফলে
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্ত থাকা যায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস এর জন্য: জয়তুন তেল এ রয়েছে প্রচুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই তেল গ্রহণে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে থাকা পলিনেফল স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
যার ফলে এই তেল মানসিক চাপ প্রতিরোধ করে এবং ডায়াবেটিস জন্য অনেক উপকারী।
চোখের জন্য: জয়তুন তেল চোখের চারপাশে মেখে কিছু সময় রেখে দিলে তা রক্ত
চলাচল বৃদ্ধি করে যার ফলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চোখের কার্যকারিতা
বৃদ্ধি করে থাকে।
অকাল বার্ধক্য দূর করে: জয়তুন তেল নিয়মিত শরীরের ব্যবহার করলে সহজে চামড়া
কুচকে যাওয়াকে প্রতিহত করে। এই তেল ব্যবহার করে শরীরের চামড়া টাইট রেখে সহজে
শরীরে বার্ধক্যর ছাপ পড়তে দেয় না। সাধারণনত দেহের চামড়া টাইট ও সতেজ রাখার জন্য
প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জয়তুন তেলে পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায়। যা শরীরের
অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে থাকে।
রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধে: জয়তুন তেলে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ
উপাদান বিদ্যমান থাকায় এই তেল খাবারের সাথে খেলে শরীরের রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধ করে
থাকে।
ব্যথা উপশমে: জয়তুন তেল শরীরের ব্যথানাষক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জয়তুন তেল ব্যথার জন্য ঔষধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দাঁতের যত্নে: জয়তুন তেল দাঁতের যত্নে ব্যবহার হয়ে থাকে। দাঁতের ক্যাভিটি
রোধ ও মাড়ি ফোলার জন্য এই তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া এই গাছের ডাল মেছওয়াক
হিসেবে ব্যবহার করা দাঁতের জন্য খুবই উপকারী।
জয়তুন তেলের ব্যবহার
রান্নার কাজে: প্রায় সকল ধরনের খাবার রান্নার জন্য ব্যবহার করা যায়। এতে
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। খাবার রান্নার জন্য Pure Olive oil ব্যবহার করা হয়ে
থাকে।
সালাদ ও ম্যাসাজ এর জন্য: গরম ভাতের সাথে, রান্নার পর তরকারীর সাথে,
সালাদের সাথে কিংবা চুল, দাড়িতে ব্যবহার ও শরীরে ম্যাসাজ এর জন্য এই তেল ব্যবহার
হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে Extra virgin olive oil ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সালাদের সাথে
এই তেল ব্যবহার করলে সালাদের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। এই তেল চুল মালিশ করলে চুলের গোড়া
মজবুত হয়। ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
অল্প ভাজা পোড়ার জন্য: আমরা কিছু খাবার অল্প ভেঁজে কিংবা ফ্রাই করে খেয়ে
থাকি। যেমন-মাছ ভাজা, ডিম ভাজা, সবজি ভাজা ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে Extra light olive
oil ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ভাজা পোড়ার জন্য: আমরা কিছু খাবার ভেঁজে কিংবা দীর্ঘ সময় ফ্রাই করে খেয়ে
থাকি। যেমন-চপ, সিংগাড়া, পিয়াজু, পাকোড়া ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে Pomace olive oil
ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জয়তুন তেলের অনেক উপকারিতা থাকলেও এই তেলে কিছু অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে
সেই বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত হয় তারা এই তেল ব্যবহার করলে ব্রন হতে পারে।
এই তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তচাপকে প্রভাবিত করতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগীদের এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে তাদের ডায়াবেটিক চেকআপ করতে
হবে। তার কারণ হলো এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
যাদের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক থাকে তাদের জন্য এই তেল ক্ষতিকারক সাব্যস্ত হতে
পারে।
জয়তুন তেলে যেহেতু ক্যালোরি আছে তাই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে হৃদপিন্ডের জন্য
ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভবতী মহিলাদের এই তেল ব্যবহারে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এই তেল ক্ষত স্থানে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
লেখকের মতামত
জয়তুন তেল অনেক উপকারি একটি তেল। তারপরও এটি খাবার পরে বা প্রয়োগের পরে যদি কোনো
এ্যালর্জি, জ্বালা পোড়া বা অস্বস্তি অনুভব করেন তবে তা গ্রহন করা দ্রুত বন্ধ করতে
হবে। গর্ভবতী মহিলা ও ছোট বাচ্চাদের জন্য এই তেল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা পরামর্শ
থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ডেইলীবিডিটেক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url