ড্রাগন ফলের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন
ড্রাগন ফল আমাদের অনেকেরই পছন্দের একটি ফল। আমাদের অনেকের পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও আমরা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানাব।
ড্রাগন ফল অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। সাম্প্রতিক সময়ে ড্রাগন ফল আমাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই আজকে আমরা এই ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচীপত্র
- ড্রাগন ফল কি
- ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন
- ড্রাগন ফলের ব্যবহার
- ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
- ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা
- ড্রাগন ফল কোন দেশে বেশী চাষ করা হয়
- ড্রাগন ফল বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যায়
- লেখকের মতামত
ড্রাগন ফল কি
ড্রাগন ফল একটি বিশেষ ধরনের ফল যা পিটায়া নামেও পরিচিত। ড্রাগন ফল (যা পিতায়া নামেও পরিচিত, এর বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus)। এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা (ক্যাক্টাস) প্রজাতির ফল। মূলত এটি একটি কাকটাস উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন হয়। ড্রাগন ফলের বাইরের দিকটি উজ্জ্বল গোলাপি বা লাল বা হলুদ রঙের হতে পারে, যা সবুজ বা হলুদ কাঁটাযুক্ত পাতা দিয়ে আবৃত থাকে।
আরো পড়ুন: লাল আঙুর ফলের অজানা আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুন ও উপকারিতা।
এর ভিতরে সাদা, লাল বা গোলাপি রঙের মাংস থাকে, যার মধ্যে অনেকগুলি ছোট কালো বীজ থাকে। এর স্বাদ মিষ্টি এবং হালকা, যা কিউই এবং নাশপাতির মতো। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, এবং ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যগত দিক থেকে উপকারী। ড্রাগন ফল তাজা অবস্থায় খাওয়া হয়, পাশাপাশি সালাদ, জুস, বা স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এর দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় এটি খাবারের সজ্জাতেও ব্যবহার করা হয়।
ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
ড্রাগন ফলের মূলত তিনটি প্রধান প্রকারভেদ রয়েছে, যা ফলের বাইরের রঙ এবং মাংসের রঙের উপর ভিত্তি করে পার্থক্য করা হয়:
সাদা মাংসযুক্ত ড্রাগন ফল : এই জাতের বাইরের রং উজ্জ্বল গোলাপি বা লাল। মাংসের রঙ সাদা। এর বীজগুলো কালো ছোট ছোট ধরনের হয়। এর স্বাদ মৃদু মিষ্টি ধরনের।
লাল মাংসযুক্ত ড্রাগন ফল :এই জাতের বাইরের রঙ উজ্জ্বল গোলাপি বা লাল। ভিতরে মাংসের রঙ গাঢ় লাল বা গোলাপি। মাংসের ভিতরের কালো ছোট ছোট বীজ থাকে। এর স্বাদ মিষ্টি এবং কিছুটা খাস্তা।
হলুদ ড্রাগন ফল : এই জাতের বাইরের রঙ হলুদ। এর মাংসের রঙ সাদা। মাংসের মধ্যে কালো ছোট ছোট বীজ থাকে। এর স্বাদ অন্যান্য জাতের তুলনায় একটু বেশি মিষ্টি এবং রসালো।
এছাড়াও, স্থানীয় নাম এবং চাষের পদ্ধতির কারণে কিছু অঞ্চলে ড্রাগন ফলের আরও ভিন্ন রকমের জাত দেখা যেতে পারে। তবে উপরের তিনটি জাতই প্রধান এবং সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন
ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে ভিটামিন, মিনারেল, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সাধারণত প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণে দেওয়া হয়। এখানে একটি চাট আকারে ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদানগুলোর অনুপাতিক সংখ্যা দেওয়া হলো:
ক্রমিক | পুষ্টিগুনের নাম | পুষ্টিগুনের পরিমান |
---|---|---|
১ | ক্যালোরি | ৫০-৬০ ক্যালোরি |
২ | পানি | প্রায় ৯০% |
৩ | প্রোটিন | ১-২ গ্রাম |
৪ | ফ্যাট | ০.১-০.৬ গ্রাম |
৫ | কার্বোহাইড্রেড | ১১-১৩ গ্রাম |
৬ | ডায়েটারি ফাইবার | ৩ গ্রাম |
৭ | শর্করা | ৮-১০ গ্রাম |
৮ | ভিটামিন সি | ৩-৪ মিলিগ্রাম |
৯ | ক্যালসিয়াম | ৬-১০ মিলিগ্রাম |
১০ | আয়রন | ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম |
১১ | ম্যাগনেসিয়াম | ১৮-২৫ মিলিগ্রাম |
এই উপাদানগুলোর জন্য ড্রাগন ফল স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত, এর উচ্চ ফাইবার এবং ভিটামিন সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ড্রাগন ফলের ব্যবহার
ড্রাগন ফল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। এর সুন্দর রঙ, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের জন্য এটি অনেক খাদ্য প্রস্তুতির উপকরণ হিসেবে জনপ্রিয়। ড্রাগন ফলের কিছু প্রধান ব্যবহার নিম্নরূপ:
- তাজা খাওয়া: ড্রাগন ফল সাধারণত তাজা অবস্থায় খাওয়া হয়। এটি কেটে মাংসের অংশ খাওয়া যায়, যা সরাসরি চামচ দিয়ে তুলে খাওয়া সহজ।
- সালাদ: ড্রাগন ফল ফলের বা সবজির সালাদে ব্যবহার করা যায়। এটি অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে মিষ্টি ও রঙিন সালাদ তৈরি করা যায়।
- স্মুদি এবং জুস: ড্রাগন ফল স্মুদি এবং জুস তৈরির জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি স্মুদিতে একটি সুন্দর রঙ এবং হালকা মিষ্টি স্বাদ যোগ করে।
- ডেজার্ট এবং মিষ্টান্ন: ড্রাগন ফল কেক, পেস্ট্রি, পুডিং, এবং আইসক্রিমের মতো ডেজার্টে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি প্রাকৃতিক রঙিন উপাদান হিসেবে অনেক মিষ্টান্নে ব্যবহার করা হয়।
- ফ্রুট বোল: ড্রাগন ফল অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে ফ্রুট বোল তৈরি করতে ব্যবহার করা যায়, যা হালকা খাবার বা নাস্তা হিসেবে জনপ্রিয়।
- জ্যাম এবং জেলি: ড্রাগন ফলের মাংস এবং বীজ ব্যবহার করে জ্যাম এবং জেলি তৈরি করা যায়।
- ড্রিঙ্কস: ড্রাগন ফলের জুস বা পিউরি বিভিন্ন ককটেল, মকটেল, এবং রিফ্রেশিং ড্রিঙ্কস তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
- গার্নিশ এবং ডেকোরেশন: এর উজ্জ্বল রঙ এবং আকর্ষণীয় চেহারার কারণে ড্রাগন ফল বিভিন্ন খাবারের প্লেটে গার্নিশ বা সাজসজ্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। যা স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। এর কিছু প্রধান উপকারিতা নিম্নরূপ:
- উচ্চ পুষ্টিগুণ: ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসের উৎস: ড্রাগন ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, যা শরীরের কোষগুলোকে মৌলিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে কার্যকর।
- ফাইবার সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফল উচ্চমাত্রায় ডায়েটারি ফাইবার সরবরাহ করে, যা হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ফাইবারের উপস্থিতি রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি: ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের কারণে ড্রাগন ফল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ড্রাগন ফলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইবার, এবং ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারের কারণে ড্রাগন ফল ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- ত্বক ও চুলের যত্ন: ড্রাগন ফলে উপস্থিত ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্যে সহায়ক। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
- হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক।
- হজমের উন্নতি: ড্রাগন ফলে প্রোবায়োটিক্স থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা
ড্রাগন ফল সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বা অবস্থায় এটি কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে:
১. অ্যালার্জি: কিছু লোকের ড্রাগন ফলে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এটির লক্ষণ হতে পারে চুলকানি, র্যাশ, হাঁচি, বা শ্বাসকষ্ট। যদি কারও ড্রাগন ফলে অ্যালার্জি থাকে তবে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
২. পেটে গ্যাস বা ফোলাভাব: ড্রাগন ফলে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটে গ্যাস বা ফোলাভাব হতে পারে। ফাইবারের মাত্রা শরীরে সহ্য করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস: ড্রাগন ফলে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও এটি সাধারণত কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত এবং রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
৪. অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা: যেকোনো খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ড্রাগন ফলও এর ব্যতিক্রম নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং শরীরে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
৫. কিডনি সমস্যা: ড্রাগন ফলে অক্সালেট নামে একটি পদার্থ রয়েছে যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় এবং শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সালেটের মাত্রা বেশি হয়।
৬. কিছু ওষুধের সাথে প্রভাব: ড্রাগন ফলের উপাদানগুলো কিছু ওষুধের সাথে প্রভাবিত হতে পারে। যদি কারো বিশেষ কোনো ওষুধ সেবন করতে হয়, তবে ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ড্রাগন ফল কোথায় বেশি চাষ হয়
ড্রাগন ফল মূলত মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে, বিশেষ করে মেক্সিকোতে প্রচলিত ছিল। তবে এখন এটি বিভিন্ন দেশে চাষ করা হয় এবং সহজেই পাওয়া যায়। সাধারণত ড্রাগন ফল নিম্নলিখিত অঞ্চলে পাওয়া যায়:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশে ড্রাগন ফল চাষ করা হয় এবং বাজারে পাওয়া যায়।
দক্ষিণ এশিয়া: ভারত এবং শ্রীলঙ্কার কিছু অঞ্চলেও ড্রাগন ফল উৎপাদন হচ্ছে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা: মেক্সিকো, ক্যালিফোর্নিয়া (যুক্তরাষ্ট্র), পেরু, ইকুয়েডর প্রভৃতি দেশের উষ্ণ অঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষ জনপ্রিয়।
অস্ট্রেলিয়া: কিছু অংশে ড্রাগন ফল চাষ করা হয়।
এটি উষ্ণ জলবায়ুতে ভাল জন্মে, তাই সমুদ্র তীরবর্তী এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে ড্রাগন ফল বেশি প্রচলিত।
ড্রাগন ফল বাংলাদেশের কোথায় বেশি পাওয়া যায়
বাংলাদেশে ড্রাগন ফল চাষের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলে। নিম্নলিখিত কিছু জেলায় ড্রাগন ফলের চাষ বেশি দেখা যায়:
খুলনা ও বরিশাল বিভাগ: খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায় ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বিদ্যমান। এই অঞ্চলের উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া ড্রাগন ফলের চাষের জন্য আদর্শ।
চট্টগ্রাম বিভাগ: চট্টগ্রাম এবং এর আশপাশের জেলাগুলো, বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবানে ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে।
আরো পড়ুন: এক সপ্তাহে পেটের মেদ বা চর্বি কমান ৭ টি উপায়ে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ: এই অঞ্চলে কিছু কৃষক ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন, এবং এটি ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে।
ড্রাগন ফলের চাহিদা ও চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কৃষকরা ছোট আকারে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করে এবং স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। এছাড়া, কিছু কৃষক উন্নত প্রযুক্তি ও চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল উৎপাদন করছেন।
লেখকের মতামত
ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি অনেক উপকারী একটি ফল। ড্রাগন ফল সঠিক মাত্রায় খেলে এবং ভারসাম্য বজায় রেখে খেলে তা সাধারণত ক্ষতিকর নয়। তবে যদি কোনো অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে তা খাওয়া বন্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমাদের আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ডেইলীবিডিটেক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url