প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন ১৫টি উপায়ে

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা কিভাবে আয় করা যায় তা সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে হলে আপনি আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে আপনি জানতে পারবেন অফলাইন এবং অনলাইন দুই পদ্ধতিতেই কিভাবে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্র: 


প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা আয় করার জন্য কিছু কথা  

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি করা যেতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ে ভাবতে হবে। যেমন 
১। আপনি প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা রয়েছে?
২। আপনি কোন কাজের প্রতি কতটা মনযোগ ধরে রাখতে পারেন।
৩। আপনি যে কাজটি করবেন সে কাজটির দক্ষতা আপনার কতটুকু আছে ্ইত্যাদি।
পরিশ্রম ছাড়া কোন কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়। পরিশ্রম আবার দুই প্রকার একটি শাররিক ও আরেকটি মানসিক। আপনার কাজের দক্ষতার ও যোগ্যতার উপরে নির্ভর করে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি শাররিক পরিশ্রম বেশী করবেন নাকি মানসিক পরিশ্রম বেশী করবেন।
আবার আপনাকে  সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কাজ ঘরে বসে করবেন নাকি বাইরে গিয়ে করবেন সেই বিষয়ে আগে মনস্ত করুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না পারবেন না। আমরা আজকের আর্টিকেলে এই সম্পর্কেই লিখেছি কি করলে আপনি ৪০০০ টাকা প্রতি সপ্তাহে অনায়াসে ইনকাম করতে পারেবেন।

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা আয় করার জন্য কি প্রয়োজন

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা আয় করার জন্য আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দুই ভাবে কাজ করতে পারি। এক অনলাইন ও দুই অফ লাইন। অনলাইন বলতে  আমরা যেসব কাজকে বুঝে থাকি যেখানে কাজ করার জন্য আপনাকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় না বরং আপনি ঘরে বসেই সেই সব কাজ করতে পারেন। 
আর অফলাইন বলতে আমরা সেই সব কাজকে বুঝি যেই কাজ করতে  অবশ্যই স্বশরীরে ঘরের বাইগিয়ে করতে হয়।  অনলাইন বা অফলাইন যে কাজ করি তা করতে গেলে আমাদের কি জিনিস প্রয়োজন হয়। যেমন
অনলাইন কাজের জন্য
  • একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস  যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি
  • নিরবিচ্ছন্ন ইন্টারনেট সংযোগ
  • কাজ করার পরিবেশ
  • কাজের উপর দক্ষতা ইত্যাদি
অফলাইনের জন্য
  • শাররিক পরিশ্রম
  • নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা
  • মেধাবৃত্তিক কাজ
  • সৃজনশীল কাজ
  • ভালো যোগযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি।

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা আয় করার উপায়

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা আয় করার দুই ধরনের উপায় সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব অনলাইন ও অফলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা নিয়ে।

অনলাইন

অনলাইনে আমরা বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারি। নিন্মে এর কয়েকটি তুলে ধরা হলো।

আর্টিকেল/কন্টেন্ট রাইটিং

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকামের জন্য আর্টিকেল/কন্টেন্ট রাইটিং একটি মাধ্যম হতে পারে। কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে অনেকগুলো ভাগ রয়েছে। পাশাপাশি এর ভাষাগত ভিন্নতাও রয়েছে। আপনি যদি বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিং করতে চান তাহলে আপনি প্রায় হাজার শব্দের আর্টিকেলের জন্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
 সেই হিসেবে আপনি যদি প্রতিদিন ২টি করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনি অনায়াসে প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর্টিকেল কি ভাবে লিখবেন এই সম্পর্কে জানতে চাইলে অনলাইনে সার্চ করলে আপনি অনেক গুলো উপায় পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত উপায় ঠিক করে অনায়াসে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকামের জন্য ডাটা এন্ট্রি আরও একটি উপায় হতে পারে। মূলত ডাটা েএন্ট্রি এমন এক ধরনের কাজ যেখানে ব্যক্তি কম্পিউটারের মাধ্যমে কাগজপত্র, ফর্ম, ইমেইন ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট ডাটাবেজে জমা রাখে। ডাটা এন্ট্রি কাজে সাধারণত টাইপিং, ডাটা মেশিন, টেক্সট ইডিটিং ইত্যাদি কাজগুলোর উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
ডাটা এন্ট্রির কাজ দুই ধরনের হয় প্রথমটি সাধারণ ও দ্বিতীয়টি বিশেষায়িত। সাধারণ ডাটা এন্ট্রির কাজে সাধারনত নাম, ঠিকান,ফোন নম্বর ইত্যাদি টাইপের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। অন্যদিকে বিশেষায়িত ডাটা এন্ট্রির জন্য বিশেষায়িত জ্ঞানসম্মত জিনিস যেমন চিকিৎসা, তথ্য, আইনি তথ্য ইত্যাদি তথ্য কালেক্ট করতে হয়।
পরিসংখ্যানে তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মাসিক ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা অব্দি আয় করেছে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি ফ্রিল্যান্সররা। এটি অবশ্য নির্ভর করে একজন মানুষের কর্ম দক্ষতার উপরে। তাই এই কাজের জন্য আগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকামের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং আরেকটি অনন্য মাধ্যম হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পন্য ও সেবার প্রচার প্রচারনামূলক কাজ করে থাকে। অন্যভাবে বলতে গেল অনলাইনের মাধ্যমে যে সকল মার্কেটিং হয়ে থাকে তাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের বিভিন্ন ধরন হয়ে থাকে। যেমন
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বা এসইএম
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরোক্ত কাজগুলো খুব বেশি জনপ্রিয়। উপরোক্ত কাজ গুলোর মাধ্যমে অনায়াসে প্রতি সপ্তাহে প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন এক ধরনের কাজ যেটা আপনি ঘন্টা ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। 
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, লিংকডিন, ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এর মতো প্লাটফর্মগুলোতে কাজ করতে হবে।

ব্লগিং

আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগিং এর মাধ্যমে তা অনায়াসে আয় করতে পারেন। আপনি যদি ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করতে তাহলে অবশ্যই আপনি ব্লগিং থেকে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন।
ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত সেই সাইটে কিছু কন্টেন্ট পাবলিস করতে হবে যেগুলো মানুষ গুগলে বেশি সার্চ করে থাকে। আপনার ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর আনার জন্য এসইও করতে করতে হবে । প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করতে হবে।
তারপর আপনার ব্লগে গুগল এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে হবে। যদি আপনার ভিজিটর সেই এ্যাড দেখে তাহলে তা থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। প্রয়োজনে আপনার ব্লগ সাইটে আপনার বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে পন্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন। এতে করে সেখান থেকেও আপনি কমিশনভিত্তিক ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার যদি নিজস্ব কোন পন্য কিনে থাকেন সেটাও আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েব সাইটে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকামের জন্য ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এমনকি এর চাইতেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ইমেইল মার্কেটিং হলো এমন একটি ডিজিটাল পদ্ধতি যেখানে ইমেইলে মাধ্যমে বিভিন্ন পন্য বা সেবার প্রচার প্রচারণা চালানো হয়।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বিজনেস ইমেইল খুলতে হবে। আপনি চাইলে কিছু ফ্রি কিংবা পেইড ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করতে পারেন। তারপর আপনাকে আপনার গ্রাহকের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং সেখানে তালিকা অনুসারে মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করে প্রচারনা মূলক ইমেইন পাঠাতে হবে।
আপনি আপনার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রডাক্টের লিংক গ্রাহকের কাছে পাঠাতে হবে। যদি কোন গ্রাহক সেই লিংক ব্যবহার করে কোন পন্য ক্রয় করে তাহলে আপনি সেই প্রডাক্ট বিক্রি থেকে কমিশন পাবেন।
আপনি চাইলেই আপনার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ই কমার্স প্রডাক্ট এর প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন। আপনি েইমেইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন টাস্ক বা ক্লিক বেইজ কাজ করতে পারেন।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন ইউটিউব, ইনস্ট্রাগ্রাম, ফেসবুক থেকে ইমেইল সংগ্রহ করে আপনার ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং করুন যা আপনার ইনকামের রাস্তা সহজ করতে সহায়তা করবে।

ফ্রিল্যান্সিং

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে তা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উপার্জন করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে আপনি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
একজন ফ্রিল্যান্সার তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করে ইনকাম করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সেটা নির্ভর যদি আপনি কাজ করেন তবে আপনি ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, সময়মতো ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আপনাকে নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সাথে কাজ করে যেতে হবে তবেই তাতে আপনি সফল হতে পারবেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতাগুলো হলো:
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • কন্টেন রাইটিং
  • সফওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

অফলাইন

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে হলে অনলাইনের মত ঘরে বসে কাজ করা চলবে না। এতে ঘর থেকে বাইরে বের হতে হবে। শারিরীক পরিশ্রম করতে হবে। তবে অবশ্যই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। অফলাইনে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে ইনকাম করা যায় নিন্মে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

কৃষিকাজ

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে কৃষিকাজ একটি অনন্য মাধ্যম। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে প্রথমেই আপনার বাজার অনুসন্ধান করে দেখতে হবে আপনার এলাকায় কোন পণ্যে চাহিদা বেশি। তারপর জানতে হবে সেই পণ্যের মূল্য। 
এগুলো দেখার পর আপনাকে উচ্চ ফলন শীল জাতের সেই ফসলের বীজ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সঠিক পরিচর্চার মাধ্যমে, সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরন করে আপনাকে সর্বোচ্চ পরিমান ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করতে হবে।
তারপর সেই ফসল বাজারজাত করতে হবে। সেটা স্থানীয় বাজার কিংবা কোন অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে যোগাযোগ করে সেই ফসল বিক্রি করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনি এর মাধ্যমে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 ড্রাইভার

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ড্রাইভার হওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন রাইডিং শেয়ার প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সহজেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন উবার, পাঠাও ইত্যাদি এ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।
আপনাতে রাইড করার জন্য ব্যস্ত সময় কে বেছে নিতে হবে। কারণ তখন আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন প্লাটফর্ম িএর প্রমোশন ও বোনাস অফারগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি অতিরিক্ত কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
রাইড করার সময় আপনাকে যথাসম্ভব খরচ নিয়ন্ত্রন করতে হবে। প্রয়োজনে পরিকল্পনা করে প্রয়োজনমাফিক পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।


টিউশনি

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকামের জন্য অফলাইনে ইনকামের জন্য টিউশনি করানো একটি ভালো উপায় হতে পারে। টিউশনি বলতে কি বুঝায় তা আমরা সকলেই জানি। আমরা সকলেই কোন না কোন শিক্ষকের কাছ থেকে টিউশনি নিয়েছি।
আপনাকে টিউশনি করানোর জন্য প্রথমে আপনার দক্ষতার উপর নজর দিতে হবে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়টাই টিউশনির জন্য সিলেক্ট করুন। তারপর এলাকা খুঁজে বের করতে হবে যেখানে টিউশনি পড়ানোর জন্য মানুষের চাহিদা বেশি এবং পারিশ্রমিক হিসেবে যেটা দিবে সেটাও একটু ভালো মানের।
তারপর সেই এলাকায় আপনার টিউশনির বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেটা হতে পারে সোশ্যাল  মিডিয়ায়, পোস্টার কিংবা নোটিশ বোর্ডেও দিতে পারেন। তারপর আপনাকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী মূল্য ঠিক করতে হবে। তা অবশ্যই বাজারের সাথে সামজ্ঞস্যপূর্ন হতে হবে।
তারপর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সময়ের দিকে। আপনাকে সময়মত ঠিকভাবে প্রতিদিন ক্লাস নিতে হবে। পরিশেষে আপনাকে এমনভাবে টিউশনি করাতে হবে যাতে ছাত্ররা ভালো ফলাফল করে। তাতে অভিভাবকেরা সন্তুষ্ট হবে। কেননা অভিভাবকরা সন্তুষ্ট হলে তারা আপনার বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যম হবে। তখন আপনাকে কষ্ট করে আর বিজ্ঞাপন করার প্রয়োজন হবে না।

ফটোগ্রাফি

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য ফটোগ্রাফি আপনার পছন্দের একটি মাধ্যম হতে পারে। ফটোগ্রাফি বলতে কোন প্রতিষ্ঠানের ইভেন্ট বা ব্যক্তিগত পোর্টফোলি তৈরি বা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য ফটো উঠানোকে বুঝানো হয়।
ফটোগ্রাফির জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে নিজের পোর্টফোলি তৈরি করতে হবে। যাতে আপনার ক্লায়েন্টরা আপনার কাজের মান ও দক্ষতা সম্পর্কে অবহিত হতে পারে। আপনার এলাকার ফটোগ্রাফি কাজের রেট আপনাকে জানতে হবে।তারপর সেই এলাকায় আপনার ফটোগ্রাফির বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেটা হতে পারে সোশ্যাল  মিডিয়ায়, পোস্টার কিংবা অন্য কোন ভাবে।  আপনি ভালো কাজ দিয়ে আপনার ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট করতে পারলে আপনার ক্লায়েন্ট আরো অন্য ক্লায়েন্ট এনে দিবে।

রিসেলিং

প্রতি সপ্তাহে 4০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য রিসেলিং একটা কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে আপনার জন্য। প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে একটি ব্যবসা দাঁড় করানো খুবই কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ। আবার এত অনেক মূলধনের প্রয়োজন পরে। সবার ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলে একটি ব্যবসা গড়ে তোলা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
কিন্তু রিসেলিং বা ড্রপ শিপিং আপনি চাইলেই করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে অনায়াসে আপনি সপ্তাহে 4০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।

রাইটারের মতামত

আপনি যদি দক্ষতা, পরিশ্রম ও ধৈর্য্য সহকারে উপরোক্ত বিষযগুলোর কয়েকটি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি সপ্তাহে 4০০০ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন বলে আমরা আশা করি। এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলীবিডিটেক নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url